Thursday, July 28, 2016

এসো মানুষ হই...


জাপানী দল বিশ্বকাপে হেরে গেলেও জাপানী দর্শকরা গ্যালারী পরিষ্কার করে স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন। এ কেমন কথা? এটা কি কোন পরাজয়ের ভাষা! হেরেছিস- রেফারীর গুষ্টি তুলে গালি দে- বলে দে পয়সা খেয়েছে। বিয়ারের ক্যান, কোকের ক্যান, চিনাবাদামের খোসা যা পাস ছুড়ে দে। দুই দিন হরতাল ডাক। অন্তত বুদ্বিজীবিদের ভাষায় এটা তো বলতে পারিস যে খেলোয়াড় নির্বাচন ঠিক হয়নি- সরকারের অথবা বিরোধী দলের হাত আছে।
--
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হেরে গিয়ে জাপানের সম্রাট হিরোহিতো আমেরিকার প্রতিনিধি ম্যাক আর্থারের কাছে গেলেন। প্রতীকি আইটেম হিসাবে নিয়ে গেলেন এক ব্যাগ চাল। হারাকিরি ভঙ্গিতে হাটু গেড়ে মাথা পেতে দিয়ে বললেন- আমার মাথা কেটে নেন আর এই চাল টুকু গ্রহণ করুন। আমার প্রজাদের রক্ষা করুন। ওরা ভাত পছন্দ করে। ওদের যেন ভাতের অভাব না হয়।
আরে ব্যাটা তুই যুদ্ধে হেরেছিস তোর আত্মীয় স্বজন নিয়ে পালিয়ে যা। তোর দেশের চারিদিকেই তো পানি। নৌপথে কিভাবে পালাতে হয় আমাদের ইতিহাস (লক্ষণ সেন) থেকে শিখে নে। কোরিয়া বা তাইওয়ান যা। ওখানকার মীরযাফরদের সাথে হাত মিলা। সেখান থেকে হুংকার দে।
সম্রাট হিরোহিতোর এই ক্যারেক্টার আমেরিকানদের পছন্দ হলো। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কুখ্যাত মহানায়কদের মধ্যে কেবলমাত্র হিরোহিতোকে বিনা আঘাতে বাচিয়ে রাখা হলো।
--
জাপানে পড়তে আসা এক বাংলাদেশী ভাই একদিন ফোনে বললো- ভাই, বড়ই লজ্জায় আছি।
কেন কি হয়েছে ?
ড্রইং ক্লাসে ড্রইং বক্স নিয়ে যাইনি।
তো?
জাপানী স্যার বড় একটা শিক্ষা দিয়েছেন।
কি করেছে?
আমার কাছে এসে উল্টা ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন আজ যে ড্রইং বক্স নিয়ে আসতে হবে তা স্মরণ রাখার মত জোর দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন নি। তাই সে দুঃখিত।
হুম।
আমি তো আর কোন দিন ড্রইং বক্স নিতে ভুলবো না, ভাই । আজ যদি সে আমাকে বকা দিত বা অন্য কোন শাস্তি দিত আমি কোন একটা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বাচার চেষ্টা করতাম।
--
২০১১ সালের ১১ই মার্চ। Tsunami র আগাম বার্তা শুনে এক ফিশারি কোম্পানীর মালিক সাতো সান প্রথমেই বাচাতে গেলেন তার কর্মচারীদের। হাতে সময় আছে মাত্র ৩০ মিনিট। প্রায়রিটি দিলেন বিদেশি (চাইনিজ) দের। একে একে সব কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে পাশের উচু টিলায় নিজ হাতে রেখে এলেন। সর্বশেষে গেলেন তার পরিবারের খোজ নিতে। ইতিমধ্যে Tsunami সাহেব এসে হাজির। সাতো সানকে চোখের সামনে কোলে তুলে ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন। আজও খোজহীন হয়ে আছেন তার পরিবার। ইসস সাতো সান যদি রানা প্লাজার মালিকের সাথে একটা বার দেখা করার সুযোগ পেতেন ।
সাতো সান অমর হলেন চায়না তে। চাইনিজরা দেশে ফিরে গিয়ে শহরের চৌরাস্তায় উনার প্রতিকৃতি বানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
--
নয় বছরের এক ছেলে। স্কুলে ক্লাস করছিল। Tsunami-র আগমনের কথা শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষ সব ছাত্রদের তিন তলায় জড়ো করলো। তিন তলার বেলকনি থেকে দেখলো তার বাবা আসছে গাড়ি নিয়ে। গাড়িকে ধাওয়া করে আসছে ফোসফোসে পানির সৈন্য দল। গাড়ির স্পিড পানির স্পিডের কাছে হার মেনে গেলো। চোখের সামনে নাই হয়ে গেল বাবা। সৈকতের নিকটেই ছিল তাদের বাসা। মা আর ছোট ভাই ভেসে গেছে আরো আগে। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ছেলেটি আশ্রয় শিবিরে উঠলো। শিবিরের সবাই ক্ষুধায় আর শীতে কাপছে। ভলান্টিয়াররা রুটি বিলি করছেন। আশ্রিতরা লাইনে দাড়িয়ে আছেন। ছেলেটিও আছে। এক বিদেশী সাংবাদিক দেখলেন, যদ্দুর খাদ্য (রুটি) আছে তাতে লাইনের সবার হবেনা । ছেলেটির কপালে জুটবে না। সাংবাদিক সাহেব তার কোট পকেটে রাখা নিজের ভাগের রুটি দুটো ছেলেটিকে দিলেন। ছেলেটি ধন্যবাদ জানিয়ে রুটি গ্রহন করলো। তারপর যেখান থেকে রুটি ডিস্ট্রিবিউশন হচ্ছিল সেখানেই ফেরত দিয়ে আবার লাইনে এসে দাড়াল। সাংবাদিক সাহেব কৌতুহল ঢাকতে পারলেন না। ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করলেন - এ কাজ কেন করলে খোকা? খোকা উত্তর দিল- বন্টন তো ওখান থেকে হচ্ছে। উনাদের হাতে থাকলে বন্টনে সমতা আসবে। তাছাড়া লাইনে আমার চেয়েও বেশী ক্ষুধার্ত লোক থাকতে পারে।
সহানুভুতিশীল হতে গিয়ে বন্টনে অসমতা এনেছেন- এই ভেবে সাংবাদিক সাহেবের পাপবোধ হলো। এই ছেলের কাছে কি বলে ক্ষমা চাইবেন ভাষা হারালেন।
--
যাদের জাপান সম্পর্কে ধারণা আছে তারা সবাই জানেন...যদি ট্রেনে বা বাসে কোন জিনিস হারিয়ে যায়, অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন, ঐ জিনিস আপনি অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাবেন। গভীর রাতে কোন ট্রাফিক নেই, কিন্তু পথচারী ঠিকই ট্রাফিক বাতি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত পথ পার হচ্ছেন না। ট্রেনে বাসে টিকিট ফাকি দেয়ার হার (%) প্রায় শুন্যের কোঠায়। একবার ভুলে ঘরের দরজা লক না করে এক বাংলাদেশী দেশে গেলেন মাস খানেক পর এসে দেখেন, যেমন ঘর রেখে গেছেন, ঠিক তেমনই আছে।
এই শিক্ষা জাপানীরা কোথায় পায়?
সামাজিক শিক্ষা শুরু হয় কিন্ডারগার্টেন লেভেল থেকে। সর্বপ্রথম যে তিনটি শব্দ এদের শিখানো হয় তা হলো-
কননিচিওয়া (হ্যালো) - পরিচিত মানুষকে দেখা মাত্র হ্যালো বলবে।
আরিগাতোউ (ধন্যবাদ) - সমাজে বাস করতে হলে একে অপরকে উপকার করবে। তুমি যদি বিন্দুমাত্র কারো দ্বারা উপকৃত হও তাহলে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
গোমেননাসাই (দুঃখিত) - মানুষ মাত্রই ভুল করবে এবং সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবে।
এগুলো যে শুধু মুখস্ত করে শিখানো হয় তা না। বাস্তবে শিক্ষকরা প্রো-এক্টিভলি সুযোগ পেলেই ব্যবহার করবেন এবং করিয়ে ছাড়বেন।
সমাজে এই তিনটি শব্দের গুরুত্ব কত তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন। এই শিক্ষাটা এবং প্রাকটিস ওরা বাল্যকাল থেকে করতে শিখে। আমাদের রাজনীতিবিদরা বাল্যকালটা যদি কোন রকমে জাপানের কিন্ডারগার্টেনে কাটিয়ে আসতে পারতেন।
কিন্ডারগার্টেন থেকেই স্বনির্ভরতার ট্রেনিং দেয়া হয়। সমাজে মানুষ হিসাবে বসবাস করার জন্য যা দরকার - নিজের বই খাতা, খেলনা, বিছানা নিজে গোছানো; টয়লেট ব্যবহার, পরিষ্কার করা; নিজের খাবার নিজে খাওয়া, প্লেট গোছানো ইত্যাদি। প্রাইমারী স্কুল থেকে এরা নিজেরা দল বেধে স্কুলে যায়। দল ঠিক করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিক আইন, বাস ট্রেনে চড়ার নিয়ম কানুন সবই শিখানো হয়। আপনার গাড়ি আছে, বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসবেন, উল্টা আপনাকে লজ্জা পেয়ে আসতে হবে।
ক্লাস সেভেন থেকে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে পারবে। ক্লাসে কে ধনী, কে গরীব, কে প্রথম কে দ্বিতীয় এসব বৈষম্য যেন তৈরী না হয় তার জন্য যথেষ্ট সতর্ক থাকেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসে রোল নং ১, মানে এই নয় যে একাডেমিক পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভাল। রোল নং তৈরী হয় নামের বানানের ক্রমানুসারে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সমস্ত আইটেম গুলো থাকে গ্রুপ পারফরম্যান্স দেখার জন্য - ইন্ডিভিজুয়েল নয়। সারা স্কুলের ছেলে মেয়েদের ভাগ করা হয় কয়েকটা টা গ্রুপে- সাদা দল, লাল দল, সবুজ দল ইত্যাদি। গ্রুপে কাজ করার ট্রেনিংটা পেয়ে যায় খেলাধুলা জাতীয় এক্টিভিটি থেকে। এই জন্যই হয়তো জাপানে বড় লিডার তৈরি হয়না কিন্তু গড়ে এরা সবার সেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার আগে ১২ বছর শিক্ষাটা সম্ভবত ইউনিভার্সেল। আমাদেরটা হলো ৫ +৫ +২ অর্থাৎ প্রাইমারী ৫ বছর, হাইস্কুল ৫ বছর তারপর কলেজ ২ বছর। জাপানে ৬+৩+৩। শতকরা ১০০ ভাগ শিশুই ৬ বছর বয়সে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হয়। কারো বয়স জানতে হলে সিম্প্লি জিজ্ঞাস করুন কোন ক্লাসে পড়ে। তার সাথে ৫ যোগ করে ফেলুন।
১৮ বছর বয়সে এরা সমাজে অনেকটা প্রাপ্ত বয়স্ক-র স্ট্যাটাস পেয়ে যায়। এই স্ট্যাটাসে তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাতে পারে। ছেলেরা বিয়ে করতে পারে (মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর)। ২০ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রাপ্ত বয়স্কে পা দেয় এবং ভোট দিতে পারে।

কৃতজ্ঞতা @ অনুপ্রেরণা ۞ Inspiration

Sunday, December 6, 2015

সিলেট ভ্রমণ : এ টু জেড ২০১৫



সিলেটে দর্শনীয় স্থানের তালিকা




১। জাফলং (জিরো পয়েন্ট, মারি নদী, চা বাগান, খাসীয়া পল্লী)
২। হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরাণ(রা.) এর মাজার শরীফ
৩। জৈন্তাপূর (পুরানো রাজবাড়ী)
৪। মাধব কুন্ড ও পরীকুন্ড জলপ্রপাত
৫। শ্রীমঙ্গল (চা বাগান, লাওয়াছরা বন, মাধব পুর লেক)
৬। লালাখাল
৭। তামাবিল
৮। হাকালুকি হাওড়
৯। কীন ব্রিজ
১০। ভোলাগঞ্জ
১১। মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ি
১২। হাছন রাজা জাদুঘর
১৩। মালনী ছড়া চা বাগান
১৪। ড্রিমল্যান্ড পার্ক
১৫। আলী আমজাদের ঘড়ি
১৬। জিতু মিয়ার বাড়ি
১৭। মুনিপুরী রাজবাড়ি
১৮। মুনিপুরী মিউজিয়াম
১৯। শাহী ঈদগাহ
২০। ওসমানী শিশু পার্ক
২১। হামহাম জলপ্রপাত
২২। সাতছড়ি অভয়ারণ্য
২৩। রেমা উদ্দ্যান
২৪। এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং
২৬। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এর বাড়ি
২৭। মির্জাপুর ইস্পাহানী চা বাগান
২৮। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট 

২৯। নীল কন্ঠ ( ৭ রংঙের চা)




দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা 

জাফলং






খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। সীমান্তের ওপারে ইনডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানি, উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে মোহাবিষ্ট করে। এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। প্রকৃতি কন্যা ছাড়াও জাফলং বিউটি স্পট, পিকনিক স্পট, সৌন্দর্যের রাণী- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। ভ্রমন পিয়াসীদের কাছে জাফলং এর আকর্ষণই যেন আলাদা। সিলেট ভ্রমনে এসে জাফলং না গেলে ভ্রমনই যেন অপূর্ণ থেকে যায়। সিলেট নগরী থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং এর অবস্থান।

সিলেট থেকে আপনি বাস/ মাইক্রোবাস/ সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় যেতে পারেন জাফলং এ। সময় লাগবে ১ ঘন্টা হতে ১.৩০ ঘন্টা।
ভাড়াঃ বাস- জনপ্রতি ৫৫ টাকা
মাইক্রোবাস- ১৭০০-২০০০/-টাকা
সি এন জি চালিত অটো-রিক্সাঃ ৭০০/ টাকা।

লালাখাল





স্বচ্ছ নীল জল রাশি আর দুধারের অপরুপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। তেমনি এক নির্জন মনকাড়া স্থান লালাখাল। লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি নদীর স্বচ্চ জলরাশির উপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পীডবোটে করে আপনি যেতে পারেন লালা খালে। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান।

সিলেট শহর হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। আপনি অনেক ভাবে লালাখাল যেতে পারেন। বাস, মাইক্রো, টেম্পু যোগে আপনি যেতে পারেন।

লালাখালে থাকার তেমন কোন সুবিধা নাই। সাধারনত পর্যটকরা সিলেট শহর হতে এসে আবার সিলেট শহরে হোটেলে রাত কাটায়। সাম্প্রতিক নাজিমগড় রিসোর্ট নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পিকনিক স্পট গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।

বিছনাকান্দি










প্রকৃতির সৌন্দর্যে শোভিত অপরূপ এক লীলাভূমি সিলেট। আর তার সাথে রয়েছে প্রকৃতির অসাধারণ রূপ-লাবন্যে ঘেরা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ‘বিছনাকান্দি’। বর্ষার দিনে, গরমের অস্বস্তি থেকে প্রকৃতির কোলে শান্তি পেতে চলে আসতে পারেন ‘বিছনাকান্দি’। তাইতো একে বলা যায়, সিলেটের স্বর্গীয় বিছানা।

টানা এক ঘন্টা যাবৎ হেঁটে, ক্লান্ত শরীর যখন বিছিয়ে দিলাম ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঝর্ণার ঝকঝকে পরিষ্কার শীতল পানিতে, তখন সেই ক্লান্তি অতিসুখে পরিণত হতে এক সেকেন্ডও লাগেনি। কিভাবে যে এতটা পথ হেঁটেছি, বুঝতেই পারিনি। চাইলে নৌকায়ও যেতে পারতাম কিন্তু এ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কি আর নৌকায় ভালো লাগে! ঝকঝকে শীতল পানির প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ে, বড় বড় পাথর আঁকড়ে ধরে শৈবাল হওয়া। সামনে সবুজে ঘেরা উঁচু উঁচু পাহাড়। দূরের পাহাড়টা এতোই উঁচু, দেখে মনে হয় যেন মেঘ ছুঁয়ে আছে। পাহাড়ের চূঁড়া থেকে বিরামহীনভাবে গড়িয়ে পড়ছে ঝর্ণার জল আর তার শব্দে সারা শরীর যেন নেচে ওঠে আজ। এ যেন নায়াগ্রা জলপ্রপাতেরই প্রতিচ্ছবি।

প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য্যের মহিমা, সত্যিই অবর্ণনীয়। এ যেন অদ্ভুত এক ভাললাগা। সবকিছু এখানে এসে মিলেছে। জাফলং এর স্বচ্ছ পানি, পাথর আর পাহাড়ের মিলন। তার সাথে আছে মাধবকুন্ডের মতো ঝর্ণা। কক্সবাজারের মতো জলের ঢেউ আর শীতল মিষ্টি পানি। এ যেন ভূ-স্বর্গ।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোন জেলা থেকে সর্বপ্রথম আপনাকে আসতে হবে প্রকৃতির অপরূপ হাতে সাজানো সিলেট শহরে। এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক হোটেল রয়েছে। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত রুম ভাড়া পাওয়া যায় এখানে। নিরাপত্তাব্যবস্থাও বেশ ভালো। দরগা গেটে কয়েকটি ভালো হোটেল আছে। যেহেতু সকালের যাত্রাটা আম্বরখানা থেকে, তাই দরগা গেটই ভালো হবে।

বিছানাকান্দি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট যেতে হবে। সেখানে বিমান বন্দর রোডের দিকে সিএনজি স্টেশন আছে। সিএনজি হাদার পার নামক জায়গায় পর্যন্ত রিজার্ভ করে গেলে ভালো হয়। পাঁচ জন মিলে ৪০০ টাকায় সাধারণত ভাড়া নেওয়া হয়। তবে এ রুটে নিয়মিত সিএনজি চলে, ভাড়া জনপ্রতি ৮০ টাকা।

চারপাশে শুধু সবুজ চা বাগান। ওপরে নীল আকাশ আর নীচে যেন সবুজ গালিচা বিছানো। বিমানবন্দর পর্যন্ত এ রকমই সুন্দর রাস্তা দেখতে পাবেন। সবুজের সমারোহ, পাহাড়, দূর থেকে দেখা সাদা রেখার ন্যায় মেঘালয়ের ঝর্না আর গ্রাম দেখতে দেখতে আপনি হাদার পার এসে পৌঁছাবেন। মসজিদের পাশেই আছে খেয়া ঘাট। সুন্দর সাজ পোশাক দেখে মাঝিরা হয়ত ২০০০ টাকা চেয়ে বসতে পারে। ভুলেও রাজি হবেন না। ভাবখানা এমন রাখতে হবে যে, আমরা হেঁটেই যেতে পারব। নৌকা ভাড়া আসা-যাওয়া নিয়ে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা হলে ভাল। দরাদরি করে এর চেয়ে কমে পেলে আরও ভালো। তবে এ্যাডভেঞ্চার প্রিয়রা হেঁটেই যায়। আগের রাতে যদি বৃষ্টি হয় তবে নৌকা নেয়াই ভালো। আর হাঁটার অভ্যাস না থাকলে ভুলেও হাঁটা শুরু করবেন না যেন।

এখানে এসে সব সৌন্দর্য্যই উপভোগ করছি কিন্তু ছোঁয়া যাচ্ছে না কিছুই, কেননা সবই যে ভারতে। তবে দূর পাহাড়ই আপনাকে হাঁটাবে। মেঘালয়ের টানেই আপনি হাঁটবেন…..যদি হেঁটে বিছানাকান্দি যান তাহলে আপনাকে এরকম কয়েকবার নৌকা দিয়ে পার হতে হবে। হাঁটতে হাঁটতে আমরা পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশের শেষপ্রান্তে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর একটি অফিস আছে একদম শেষ মাথায়। বিছানাকান্দি নামার আগে অবশ্যই তাদের সাথে পরামর্শ ও অনুমতি নিয়ে যেতে হবে।

বিছানাকান্দি যাবার দিনটা যদি হয় শুক্র বা সোমবার, তাহলে ভাববেন কপাল খুলে গেছে আপনার। সকাল দশটা থেকে চারটার ভিতর যেতে পারবেন ভারতে, সীমান্তে হাট বসে তখন। খেতে পারবেন ভারতীয় কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলমূল।

তবে সাবধান থাকবেন যাতে ফেনসিডিল দালালদের পাল্লায় না পড়েন। ছোট্ট শিশুরাও অফার করতে পারে। পা দিলে বিপদে পড়বেন কারণ, কিছুক্ষণ পরপর বিজিবি চেকআপ হয়। এছাড়া সাঁতার না জানলেও খুব সাবধান থাকবেন। সাঁতার যারা জানেন তারাও সাবধান, প্রচন্ড স্রোতে আপনি পাথরের আঘাত পেতে পারেন, পাথরে ধরতেও সাবধান থাকবেন, কারণ মাঝে মাঝে খুব পিচ্ছিল পাথর আছে।

রাতারগুল






শীতের শুরুতেই আনাগোনা শুরু হয় অতিথি পাখির। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে চলে পাখির ‘ডুবো খেলা’। বনজুড়ে চড়ে বেড়ায় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী। হাওর আর নদী বেষ্টিত অপূর্ব সুন্দর বনের দক্ষিণ পাশে সবুজের চাদরে আচ্ছাদিত জালি ও মূর্তা বেত বাগান। এর পেছনেই মাথা উঁচু করে আছে সারি সারি জারুল-হিজল-কড়চ। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকগুলো আলাদা সৌন্দর্য এনে দিয়েছে জলার বনটিকে।

দেশের একমাত্র স্বীকৃত সোয়াম্প ফরেষ্ট বা জলার বন “রাতারগুল” সিলেটে অবস্থিত। সোয়াম্প ফরেস্ট বা জলার বন কি? পানিসহিষ্ণু বড় গাছপালা একটা বনের রূপ নিলে তবেই তাকে বলে সোয়াম্প ফরেস্ট বা জলার জঙ্গল। উপকূলীয় এলাকার বাইরে অন্যান্য জায়গার সোয়াম্প ফরেস্টগুলো সব সময় জলে প্লাবিত থাকে না। কেবল বর্ষায় এই বনের গাছগুলো আংশিক জলে ডুবে থাকে।

উত্তরে গোয়াইন নদী, দক্ষিণে বিশাল হাওর। মাঝখানে ‘জলার বন’ রাতারগুল। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে এই জলার বনের অবস্থান। সিলেট নগরী থেকে দেশের একমাত্র স্বীকৃত এ সোয়াম্প ফরেস্টের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। অনিন্দ্য সুন্দর বিশাল এ বনের গাছ-গাছালির বেশিরভাগ অংশই বছরে চার থেকে সাত মাস থাকে পানির নিচে।

এই বনের আয়তন তিন হাজার ৩২৫ দশমিক ৬১ একর। এর মধ্যে ৫০৪ একর বন ১৯৭৩ সালে বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের পানি সহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে বন বিভাগ। বিশাল এ বনে রয়েছে জলসহিষ্ণু প্রায় ২৫ প্রজাতির উদ্ভিদ। পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল ও বাজ। শীতে মাঝেমধ্যে আসে বিশালকায় সব শকুন। আর লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ঘাঁটি গাড়ে বালিহাঁসসহ হরেক জাতের পাখি। শুকনো মৌসুমে ডিঙ্গি নিয়ে ভেতরে গেলে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আপনাকে উড়ে সরে গিয়ে পথ করে দিবে। এ দৃশ্য আসলেই দূর্লভ!

বাংলাদেশের সব বনের থেকে রাতারগুল একেবারেই আলাদা। ঘন গাছের সারি। কিন্তু গাছগুলোর নিচের অনেকটাই ডুবে আছে পানিতে। গাছের মধ্যে করচই বেশি। হিজলে ফল ধরে আছে শয়ে শয়ে। বটও চোখে পড়বে মাঝেমধ্যে, মুর্তা গাছ কম। তবে রাতারগুলের বেশ বড় একটা অংশে বাণিজ্যিকভাবে মুর্তা লাগিয়েছে বন বিভাগ। মুর্তা দিয়ে শীতল পাটি হয়। মুর্তা বেশি আছে নদীর উল্টো পাশে। ওদিকে শিমুল বিল হাওর আর নেওয়া বিল হাওর নামে দুটো বড় হাওর আছে।

বড়ই অদ্ভুত এই জলের রাজ্য। কোনো গাছের হাঁটু পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে। কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা। ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন অন্ধকার লাগবে পুরো বনটা। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দিবে পথ। হাত দিয়ে ওগুলো সরিয়ে তৈরি করতে হবে পথ। চলতে হবে খুব সাবধানে। কারণ রাতারগুল হচ্ছে সাপের আখড়া। বর্ষায় পানি বাড়ায় সাপেরা ঠাঁই নেয় গাছের ওপর।

সাপের মধ্যে রয়েছে অজগর, গুইসাপ, গোখরা, জলধুড়াসহ বিষাক্ত অনেক প্রজাতি। বর্ষায় বনের ভেতর পানি ঢুকলে এসব সাপ উঠে পড়ে গাছের ওপর। বনের ভেতর দাঁপিয়ে বেড়ায় মেছোবাঘ, কাঠবিড়ালি, বানর, ভোদড়, বনবিড়াল, বেজি, শিয়ালসহ নানা প্রজাতির বণ্যপ্রাণী। টেংরা, খলিশা, রিঠা, পাবদা, মায়া, আইড়, কালবাউস, রুইসহ আরো অনেক জাতের মাছ পাবেন এখানে। শুকনো মৌসুমে পানি কম থাকে বলে অনেক সময় ছোট ছোট মাছগুলো লাফ দিয়ে ডিঙ্গিতে উঠে যায়।

হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে বনগুলো দৃশ্যমান থাকায় বর্ষাকালে অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটে এখানে। আবার শীত মৌসুমে ভিন্নরূপ ধারণ করে এ বন। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে মূর্তা ও জালি বেতের বাগান। সে সৌন্দর্য আবার আবার অন্য রকম! বন এভাবে জলে ডুবে থাকে বছরে চার থেকে সাত মাস। বর্ষা কাটলেই দেখা যাবে অন্য চেহারা। তখন বনের ভেতরের ছোট নালাগুলো পরিণত হবে পায়ে চলা পথে। সেই পথ দিয়ে হেঁটে অনায়াসে ঘুরে বেড়ানো যায়। তো এখনই করে ফেলুন রাতারগুল ঘুরে যাওয়ার প্ল্যান। বোনাস সৌন্দর্য হিসেবে পাবেন গোয়াইন নদী দিয়ে রাতারগুল যাওয়ার অসাধারন সুন্দর পথ, বিশেষ করে বর্ষায়। নদীর চারপাশের দৃশ্যের সঙ্গে উপরি হিসেবে দেখবেন দূরে ভারতের উঁচু উঁচু সব পাহাড়।

যেভাবে যেতে হবে:

রাতারগুল যাওয়া যায় বেশ কয়েকটি পথে। তবে যেভাবেই যান, যেতে হবে সিলেট থেকেই। সিলেট-জাফলংয়ের গাড়িতে উঠে নেমে যাবেন সারিঘাট। এখান থেকে টেম্পোতে করে গোয়াইনঘাট বাজার। বাজারের পাশেই নৌঘাট। এখান থেকে রাতারগুল যাওয়া-আসার জন্য নৌকা রিজার্ভ করতে হবে। তবে মনে রাখবেন, এই নৌকায় করে কিন্তু রাতারগুল বনের ভেতরে ঢোকা যাবে না। বনে ঢুকতে হবে ডিঙি নৌকায় চেপে।

ক্বীন ব্রীজ





সিলেটের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান হলো এই ক্বীন ব্রীজ। সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলেই এই ব্রীজটি অবস্থিত। ব্রীজটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান।

হযরত শাহজালাল (র:) ও হযরত শাহপরান (র:) এর মাজার 






সিলেটের আরও একটি নিদর্শনীয় স্থান হলো হযরত শাহজালাল (র:) ও হযরত শাহপরান (র:)এর মাজার। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীদের পদচারণায় মাজার প্রাঙ্গন মুখরিত থাকে। এই মাজারের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে গজার মাছ, জালালী কবুতর, জমজমের কূপ ও ঝরনা, ডেকচি, হযরত শাহজালালের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, চিল্লাখানা ও দরগাহ শরীফ।

মালনীছড়া চা বাগান



চা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। সকালে এক কাপ গরম চা না পেলে বাঙালী সমাজের যেন একদম চলে না। বাংলাদেশের যে কয়টি অঞ্চলে চা বাগান পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। সিলেটের চায়ের রঙ, স্বাদ এবং সুবাস অতুলনীয়। উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান সিলেট শহরে অবস্থিত। নাম মালনীছড়া। ১৮৪৯ সালে এই চা বাগান প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে বেসরকারী তত্ত্ত্বাবধানে চা বাগান পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৫০০ একর জায়গার উপর এই চা বাগান অবস্থিত।চা বাগানের পাশাপাশি বর্তমানে এখানে কমলা ও রাবারের চাষ করা হয়।

মালনীছড়া চা বাগান ছাড়াও সিলেটে লাক্ষাতুড়া চা বাগান, আলী বাহার চা বাগান, খাদিম, আহমদ টি স্টেট, লালাখাল টি স্টেট উল্লেখযোগ্য।

অবস্থান: মালনীছড়া এবং লাক্ষাতুড়া চা বাগান দুইটিই সিলেট শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট হতে গাড়ীতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।

কি কি দেখবেন: পাহাড়ের গায়ে চা বাগানের দৃশ্য, ছায়া বৃক্ষ, চা শ্রমিকদের আবাসস্থল, কমলার বাগান, রাবার বাগান, চা তৈরীর প্রক্রিয়া।

কিভাবে যাওয়া যায়:

সিলেট শহর থেকে রিকশাযোগে অথবা অটোরিকশা বা গাড়িতে বিমানবন্দর রোডে চাবাগানটি পাওয়া যাবে। গাড়িতে যেতে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ১০ মিনিট এর পথ।রিকশাযোগে যেতে আধঘন্টা লাগবে।

শ্রী চৈতন্য দেব




ষোড়শ শতকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিনে পন্ডিত জগন্নাথ মিশ্রের কৃতি সন্তান শ্রী চৈতন্য (বিশ্বম্ভর মিশ্র) বাঙালির আধ্যাত্বিক জীবনে এক বৈপ্লবিক যুগের সূচনা করেন । ব্রাম্মণ্যবাদ ও উগ্র বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শ্রী চৈতন্য পরিচালিত গণ বিপ্লবে বাংলার আপামর জনসাধারণ বিপুলভাবে সাড়া দিয়েছিলেন। শ্রী চৈতন্যের সমকালে এবং এর বহুকাল পূর্ব থেকে নবদ্বীপে ঢাকাদক্ষিনের বহু বেদজ্ঞ অধ্যায়ন কিংবা অধ্যাপনার নিমিত্তে বসবাস করতেন । ঢাকাদক্ষিন রত্নগর্ভ আচার্য্য সে সময় নবদ্বীপে বসবাসকারী এক পন্ডিত ছিলেন। তাঁর পুত্র যদুনাথ কবিচনদ্র প্রসিদ্ধ বৈষ্ণব পদকর্তা ছিলেন ।তাঁর রচিত ‘‘ পদকল্পতরু ’’ এক বিখ্যাত বৈষ্ণব কাব্য। পরবর্তীতে ঢাকাদক্ষিনের প্রদ্যুন্ম মিশ্র ( শ্রী চৈতন্যের জেঠতুতো ভাই ) রচিত ‘‘ শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যেদয়াবলী ’’ এবং জগজ্জীবন মিশ্র রচিত ‘‘মনোঃসন্তোষিনী ’’ বৈষ্ণব সাহিত্য দুটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।


অবস্থান: সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ নামক স্থানে।
দুরত্ব: সিলেট শহর হতে ৩০ কি.মি।
যাতায়াত: সিলেট শহর হতে জকি গঞ্জ বা বিয়ানীবাজার উপজেলা গামী যেকোন বাস সার্ভিসে আপনি ঢাকা দক্ষিণ পর্যন্ত যেতে পারবেন। তারপর মহা প্রভু শ্রী চৈতন্য দেবের বাড়ী যেতে আপনাকে ভ্যান বা রিক্সা নিতে হবে।

জাকারিয়া সিটি






সিলেট শহর থেকে প্রায় ১১ কিমি দূরে জাফলং রোডে খাদিমনগরে ৩টি টিলার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই সিটি। প্রায় ১৭ একরের এই হলিডে রিসোর্টে রয়েছে থ্রিস্টার মোটেল, শিশুপার্ক, অডিটোরিয়াম, মিনি চিড়িয়াখানা ইত্যাদি ইত্যাদি। প্যাকেজট্যুরে জাফলং, মাধবকুন্ড, শ্রীমঙ্গল, ছাতক, হাওর ও মাজারে ভ্রমণের ব্যবস্হা আছে। দিন প্রতিরুম ভাড়া বাবদ খরচ হবে ২৮৫০/- থেকে ১২৬০০/- টাকা। এই কারণে শিরোনাম কিছুটা আয়েসী ভ্রমণ।


ঠিক আছে। আপনার কাছে কি এই আয়োজন বেশী আয়েসী হয়ে যাচ্ছে থাকতে না পারলে কি দেখতে পারবেন না। সমস্যানেই। মাত্র৫০/- টাকা জনপ্রতি টিকেট কেটে আপনি পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন। আর শিশুরা সাথে থাকলে তাদের আনন্দটা হবে সীমাহীন।

ভোলাগঞ্জ





সিলেটের আর একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হলো ভোলাগঞ্জ। রোপওয়ে, পাথর কোয়ারী আর পাহাড়ী মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনের জন্য এখানে প্রতিদিনই আগমন ঘটে পর্যটকদের।
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলো মিটার। শহর থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোন যানবাহন সার্ভিস নেই। আগন্তুকরা সিলেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহি বাস অথবা ফোরস্ট্রোকযোগে যাতায়াত করেন। টুকের বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে বেবিটেক্সি সার্ভিস।
মনিপুরী রাজবাড়ী নগর সিলেটের মির্জাজাঙ্গালে অবস্থিত মনিপুরী রাজবাড়ী প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তির অন্যতম নির্দশন। এখনও ধ্বংস স্তপের মতো টিকে থাকা স্থাপনাটি এ বাড়ীসহ সিলেটে বসবাসরত মনিপুরী সম্প্রদায়ের গভীর শ্রদ্ধা-ভক্তির স্থান। এ ভবনের নির্মাণ শৈলী সিলেট অঞ্চলের কৃষ্টি-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এককালের প্রভাবশালী রাজা গম্ভীর সিং এর স্মৃতিধন্য এ বাড়িটি আজ অবহেলিত ও বিলীন প্রায়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে প্রকৃত ভবন হারিয়েছে তার স্বকীয়তা। বাড়ীর সুপ্রাচীন প্রধান ফটক, সীমানা দেয়াল, মনোহর কারুকাজের সিড়ি ও বালাখাঁনার ধ্বংসাবশেষই বর্তমান মনীপুরী রাজবাড়ীর স্মৃতি সম্বল।

এক নজরে কিছু দর্শনীয় স্থান

নাম

কিভাবে যাওয়া যায়

অবস্থান



হজরত শাহপারান (রঃ) মাজার

সিলেট সিটির থেকে মাত্র ০৯ কি:মি: দূরে হযরত শাহপরান (র:) মাজার। সিলেট সিটির জেলগেট পয়েন্ট থেকে সি এন জি বা অন্যান্য বাহন দ্বারা শাহপরান বাজারে পাশে হযরত শাহপরান (র:) এর মাজার ।

খাদিমনগর, সিলেট সদর, সিলেট


শ্রী শ্রী দুর্গা বাড়ী মন্দির ও ইকো পার্ক।

শ্রী শ্রী দুর্গা বাড়ী মন্দির যেতে হলে শাহী ঈদগাহ থেকে এম.সি কলেজ রোডে এসে বালুচর পয়েন্টের দিকে যাতায়ত করলে শ্রী শ্রী দুর্গা বাড়ী মন্দির পাওয়া যাবে ইকো পার্ক যেতে হলে এম.সি কলেজ রোড থেকে পুর্ব-দক্ষিনে দিকে ইঞ্জিনিয়ারিং রোডে যাতায়ত করলে ইকো পার্ক

শ্রী শ্রী দুর্গা বাড়ী মন্দিরঃ বালুচর পয়েন্ট এ অবস্থিত এবং ইকো পার্কঃ ছোটবাঘ মারা


জাফলং

অবস্থান: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। সিলেট জেলা সদর হতে সড়ক পথে দুরুত্ব মাত্র ৫৬ কি.মি। সিলেট থেকে যাতায়াতঃ সিলেট থেকে আপনি বাস/ মাইক্রোবাস/ সিএনজি চালিত অটোরিক্স্রায় যেতে পারেন জাফলং এ। সময় লাগবে ১ ঘন্টা হতে ১.৩০ ঘন্টা। ভাড়াঃ বাস -জনপ্রতি ৫৫ টাকা মাইক্রোবাস- ১৭০০-২০০০/-টাকা সি এন জি চালিত অটো রিক্সাঃ ৭০০/ টাকা।

জাফলং, গোয়াইনঘাট, সিলেট।


লালাখাল

সিলেট শহর হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। আপনি অনেক ভাবে লালাখাল যেতে পারেন। বাস, মাইক্রো, টেম্পু যোগে আপনি যেতে পারেন।

সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে


ভোলাগঞ্জ

সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলো মিটার। শহর থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোন যানবাহন সার্ভিস নেই। আগন্তুকরা সিলেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহি বাস অথবা ফোরস্ট্রোকযোগে যাতায়াত করেন। টুকের বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে বেবিটেক্সি সার্ভিস।

সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা


হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার

সিলেট রেল স্টেশন অথবা কদমতলী বাস স্ট্যান্ড এ নেমে রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশাযোগে মাজারে যাওয়া যায়। রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা, সিএনজি ভাড়া ৮০-১০০ টাকা।সুরমা নদী পার হয়ে মূল শহরে এসে মাজার এ পৌছাতে হয়। মাজার গেট রোড এ অনেকগুলো আবাসিক হোটেল রয়েছে।

সিলেট শহরের চৌহাট্টা পেরিয়ে


মালনীছড়া চা বাগান

সিলেট শহর থেকে রিকশাযোগে অথবা অটোরিকশা বা গাড়িতে বিমানবন্দর রোডে চাবাগানটি পাওয়া যাবে। গাড়িতে যেতে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ১০ মিনিট এর পথ।রিকশাযোগে যেতে আধঘন্টা লাগবে।

মালনীছড়া এবং লাক্ক্কাতুড়া চা বাগান দুইটিই সিলেট শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট হতে গাড়ীতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।


লোভাছড়া চা-বাগান

সিলেট থেকে প্রথমে ৪০ টাকার বাস ভাড়া দিয়ে আসতে হবে কানাইঘাট উপজেলা সদর নৌকা ঘাটে ।তারপর ২৫ টাকার ইন্জিল নৌকা ভাড়া দিয়ে লোভা চা-বাগানে পৌছাতে পারবেন।

কানাইঘাট উপজেলা ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের লোভার পশ্চিম-উত্তর তীরে বাগিচা বাজার নামক স্থানে এর অবস্থান।


লোভাছড়া পাথর কোয়ারী

সিলেট থেকে ১ম এ ৪০ টাকার বাস ভাড়া দিয়ে কানাইঘাট উপজেলা সদর আসতে হবে। তারপর নৌকা ঘাটে এসে ইঞ্জিন নৌকার মাধ্যমে ২৫ টাকার ভাড়া দিয়ে আপনি লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পৌঁছাতে পারবেন।

কানাইঘাট উপজেলার উত্ত্বর পূর্বে এর অবস্থান।


সোনাতলা পুরাতন জামে মসজিদ

সিলেট আম্বর খানা থেকে সিএনজি তে তেমুখি এসে সোনাতলার সিএনজি তে পুনরায় উঠে আসলে এই মসজিদ টি পাওয়া যায়। থেমুখি-শিবের বাজার রাস্তার মধ্যে এটি অবস্থিত।

এটি সোনাতলা গ্রামে অবস্থিত


জাকারিয়া সিটি

সিলেট শহর থেকে প্রায় ১১ কিমি দূরে জাফলং রোডে খাদিমনগরে ৩টি টিলার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই সিটি।

সিলেট শহরের খাদিমপাড়া ইউনিয়নের অভ্যর্ন্তরে সুরমা গেইট পয়েন্ট হতে বায়ে আধা কি:মি: ভিতরে দলইপাড়া গ্রামে অবস্থিত


আমির কমপ্লেক্স

বিয়ানী বাজার থেকে বারইগ্রাম বাজার যাওয়র পথে, বারইগ্রাম বাজার এর পাশে এটি অবস্থিত। কমলাবাড়ী খেলার মাঠের মেইন রোডের দক্ষিন পার্শ্বে এটি অবস্থিত।

কমলাবাড়ী, বারইগ্রাম বাজার, বিয়ানীবাজার, সিলেট।


এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড

সিলেট সিটি থেকে উসমানী আর্ন্তরজাতীক বিমানবন্দরের রাস্থায় উক্ত পার্কের অবস্থান। সিলেট আম্বর খানা মসজিদের পূর্ব থেকে অটোরিক্সা দ্বারা উক্ত স্থানের যাতায়াত।

ধোপাগোল, খাদিম নগর ইউ/পি,সিলেট সদর,সিলেট।


ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হতে প্রায় ০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সিলেট-মৌলভীবাজার হাইওয়ে রোডের পূর্ব দিকে হাইওয়ে রোড হতে ০১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট


রায়ের গাঁও হাওর

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আম্বর খানা থেকে হাটখোলা ইউনিয়নে শিবের বাজার। সেখান থেকে সিএন জি দরে রায়ের গ্রামে গিয়ে হেটে উল্লেখিত হাওরে যাওয়া যায়।

রায়ের গাও ইউনিয়ন, সিলেট সদর উপজেলা, সিলেট।


মালিনী চড়া বাগান

এটি সিলেট সদর উপজেলার ৩ নং খাদিম নগর ইউনিয়নে অবস্থিত। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর আম্বর খানা থেকে বিমান বন্দর রাস্থার মধ্যে উল্লেখিত চা বাগান টি অবস্থিত। বাহন: সি এন জি।

সিলেট সদর উপজেলার খাদিম নগর ইউনিয়নের এয়ারপোর্ট রোডে মালনিছড়া চা বাগানের অবস্থান


সোনাতলা পুরাতন জামে মসজিদ

সিলেট আম্বর খানা থেকে সিএনজি তে তেমুখি এসে সোনাতলার সিএনজি তে পুনরায় উঠে আসলে এই মসজিদ টি পাওয়া যায়। থেমুখি-শিবের বাজার রাস্তার মধ্যে এটি অবস্থিত।

৩০ ডিসিমিল


লাক্কাতুরা চা বাগান

সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর আম্বর খানা থেকে বিমান বন্দর রোডে চা বাগানটিতে যাওয়া যায়। যে কোন ধরনের মোটর জানে লাক্কাতুরা চা বাগানে যাওয়া যায়।

সিলেট সদর উপজেলা বিমান বন্দর এলাকার পাশে চা বাগানটির অবস্থান


মালনি ছড়া চা বাগান

সিলেট সিটি কপোরেশন এর আম্বর খানা থেকে বিমানবন্দর রোডে যে কোন ধরণের যানবাহন দ্বারা উল্লেখিত চা বাগানটিতে যাওয়া যায়।

খাদিম নগর ইউপি, সিলেট সদর, সিলেট।


বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন


যোগাযোগ ব্যবস্থা

রেলপথে

ঢাকা থেকে সরাসরি সিলেটের সাথে রেল যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা – সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো।


কালনী এক্সপ্রেস
পারাবত এক্সপ্রেস
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস
উপবন এক্সপ্রেস

যোগাযোগ

কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: ৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৬৯১৬১২
বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: ৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd

বিমান পথে


ঢাকা থেকে সিলেটের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা- সিলেট ও সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল করে।

ঢাকা – সিলেট

ফ্লাইট - 4H-0501 
দিন - 
মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, রবি 
ছাড়ার সময় -
১১.২০ 
পৌঁছানোর সময়-
১২.০০

সিলেট – ঢাকা


ফ্লাইট -
4H-0502 
দিন -
মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, রবি 
ছাড়ার সময় -
১২.২০ 
পৌঁছানোর সময়-
১৩.০০

ভাড়া

ওয়ানওয়ে 
BDT 3000 
রিটার্ন 
BDT 6000


যোগাযোগ


কর্পোরেট অফিস/উত্তরা অফিস
উত্তরা টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা)
১ জসীমুদ্দিন এভিনিউ, উত্তরা
ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ।
ফোন: ৮৯৩২৩৩৮, ৮৯৩১৭১২
ফ্যাক্স: ৮৯৫৫৯৫৯
ওয়েব: www.uabdl.com
ইমেইল: info@uabdl.com 


ঢাকা এয়ারপোর্ট সেলস অফিস
ডমেস্টিক উইং কুর্মিটোলা
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ।
ফোন: ৮৯৫৭৬৪০, ৮৯৬৩১৯১।
মোবাইল: ০১৭১৩-৪৮৬৬৬০

সড়কপথে



পরিবহনের নাম

যোগাযোগ

ভাড়া


সোহাগ পরিবহন

৯৩৩১৬০০ (ফকিরাপুল)
৯১৩২৩৬০ (কমলাপুর)
৯১৩২৩৬০ (কল্যাণপুর)
৭১০০৪২২ (আরমবাগ)
৭২২২৯৯ (সোবাহানীঘাট)
১,১০০/- (এক্সিকিউটিভ)
৯০০/- (রেগুলার)


গ্রীণ লাইন

০১৭৩০-০৬০০৮০ (কল্যাণপুর)
৭২০১৬১ (সোবাহানীঘাট)

১,১০০/- (স্ক্যানিয়া)
৮৫০/- (ভলবো)


সৌদিয়া পরিবহন

০১৯১৯-৬৫৪৮৫৮ (ফকিরাপুল)
০১৭১২৯২০৯০৯ (হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর)

১,১০০/- (এসি)
৪৪০/- (নন-এসি)


হানিফ এন্টারপ্রাইজ

০১৭১৩-৪০২৬৬১ (কল্যাণপুর)
০১৭১১৯২২৪১৩ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড)

৪৫০/- (নন-এসি)


শ্যামলী পরিবহন

৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর)
০১৭১৬০৩৬৬৮৭ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড)

৪৫০/- (নন-এসি)


মামুন পরিবহন

৭২১৬৯৬ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড)

৩০০/- (নন-এসি)

থাকার ব্যবস্থা


হোটেল রোজভিউ ইন্টারন্যাশনাল (৫ স্টার)

Tel: ++88 (0821) 721835, 721439, 720425-26
Mob: ++88 01972787878, 01977200701
Fax: ++88 (0821) 720403
http://www.roseviewhotel.com/


হোটেল মেট্রো ইন্টাঃ

+880821-721143
+8801731533733
+8801615128828
http://www.hotelmetrointl.com/


হোটেল ফরচুন গার্ডেন

Tel : +880-821-715590 , 722499
Fax : 880-821-715590
Mobile : 0171-115153
Web: http://www.hotelfortunegarden.com


হোটেল ডালাস

Tel : +88-01796336836
+88-01986281334
+88-0821-720929
+88-0821-721596
Web : www.hoteldallassylhet.com


হোটেল সুপ্রিম

Phone: +88 (0821) 710897, 710913, 711033, 720751
Mobile: +88 01711-197012, 01761-498569 (General Manager), 01761498565-74
Fax: +0821-720751
http://www.hotelsupreme.net/


হোটেল হিলটাউন

ফোন: ০২৮১-৭১৮২৬৩
মোবাইল:- ০১৭১১৩৩২৩৭১, ৭১৬০৭৭
ওয়েব: www.hiltownhotel.com


হোটেল গার্ডেন ইন

+880 821 727284
+880 821 814500-06(Ex-4000)
Mob: +880 1711271185
Fax: +880 821 814509
Email: info@hotelgardeninn.netinfo.hotelgardeninn@gmail.com
Website: www.hotelgardeninn.net


নাজিমগড় রিসোর্ট

Phones: (+88 0821) 2870338, 2870339
Mobile: (+88) 01926667444, 01747200100
Email: info@nazimgarh.com
reservation@nazimgarh.com
ওয়েব: www.nazimgarh.com


হোটেল গোল্ডেন সিটি

Street Address :: East Zindabazar, Sylhet
Phone :: 0821726379, 0821726957
Cell :: 01712063152, 01714674738
General Information :: info@hotelgoldencitybd.com
Bookings :: sales@hotelgoldencitybd.com


হোটেল স্টার প্যাসিফিক

Hotel Star Pacific
East Dorgah Gate
Sylhet.
Tel: (+88) 0821 727945 - 48
Mobile: 01937776644
Fax: (+88) 0821 727946
Email:reservation@hotelstarpacific.com


হোটেলঃ

আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)।
দরগা এলাকায় হোটেল দরগাগেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)।
হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)।
জিন্দাবাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০)।
তালতলায় গুলশান সেন্টার (০৮২১-৭১০০১৮)



রিসোর্ট:
১. জাকারিয়া স্টেট: ফোন: ০১৭১৬৮১০১৪৪

রেন্ট-এ-কার এর জন্য যোগাযোগ করুন:
- জনাব রাজ্জাক: ০১৭১৫৬০০৫৮০
- জনাব সিরাজী ০১৭২৩৩৬৫৬৫৪
- জনাব আইয়ুব ০১৭১২৭৯৫৯৫২
- জনাব কবির ০১৭১২৩১৬৭৩২


কৃতজ্ঞতা

http://www.sylhet.gov.bd
http://www.arthosuchak.com/
http://www.online-dhaka.com/




© sporshoksayed 2015

Saturday, May 19, 2012

 Classical Fusion composition on raga DARBARI KANADA in Music festival 2011

Composer: Mohammed Shoeb, With his students...